ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাথে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরাতে সারা দুনিয়ার সঙ্গে প্রয়োজনে লড়াই করতে হবে। ঈদে মানুষ আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করে। রোহিঙ্গাদের সেই সুযোগও নেই।
জানা গেছে, ইফতারের মেন্যুতে ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, জিলাপি, বেগুনি, শরবতসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার ছিল। আর এই খাবারের তালিকা থেকে স্পষ্ট হয় যে, এই আয়োজনে সাধারণ মানুষ এবং অতিথিদের জন্য সহজ, স্থানীয় ও পরিচিত ইফতার পরিবেশন করা হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির সঙ্গে তাদের জীবনমান নিয়ে আলোচনা করেন। তার সফরে মানবিক সহায়তা ও রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশে এসেছেন।