মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

প্রশাসন ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি: মির্জা ফখরুল

রিপোর্টার নাম / ৯২ দেখেছেন
আপডেট সময় : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ডেস্ক খবর: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা জানি যে, প্রশাসন এখনও পর্যন্ত ফ্যাসিবাদমুক্ত হতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদমুক্ত হতে না পারার প্রধান কারণ হচ্ছে— এত ডিপ রুটেড চলে গিয়েছিল ফ্যাসিবাদ… ডিপ স্টেট তৈরি হয়েছিল যে, সেখান থেকে ফ্যাসিবাদীবিরোধী লোকজনকে খুঁজে বের করা কঠিন হয়েছে।’

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের যেটা প্রয়োজন ছিল ঐক্য অটুট রাখা, ধৈর্য রাখা, এই সরকারের সব কাজকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজন এই মুহূর্তে ধৈর্য ধরে সহনশীলতার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার যেন কাজ করতে পারে, তাদেরকে কাজ করতে দিন। অতিদ্রুত সংস্কার কাজে তারা হাত দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই কাজগুলো দরকার।’

‘এই কাজগুলো অতিদ্রুত শেষ করে একটা নির্বাচনের দিকে যাওয়া, যে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে এবং জনগণ অবাধ-‍সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। তারপরই বাকি কাজগুলো তারা সম্পন্ন করবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, নির্বাচনকেন্দ্রিক যে সংস্কারগুলো… অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী…। যেমন, আমাদের অনেককেই শাস্তি দিয়ে দিয়েছে। আমাদের শাস্তি দেওয়ায় দুই বছর তো নির্বাচনে করতে পারবো না। সেটার সংস্কার হওয়া প্রয়োজন।’

‘আর অন্যান্য সংস্কার যেগুলো আছে, সেটা যে সরকার জনগণের ভোটে আসবে, তারা করবে।’

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর রাষ্ট্র মেরামতে প্রণীত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের কথাও উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব।

নিজেদের মধ্যকার সম্মিলিত ঐক্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কী? আমরা ফ্যাসিবাদকে সরিয়েছি, হাসিনাকে সরিয়েছি। এখন একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে, যে সরকার আমাদেরকে অতিদ্রুত সবার মতামত নিয়ে একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যাবে। যে নির্বাচনটা অবাধ নিরপেক্ষ হবে। জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। সেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’

‘আপনি দেখবেন যে, আমি একটু খোলামেলা বলছি যে, অনেক সময় দেখা যায়, অত্যন্ত দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের তারা, এমন এমন কথা বলেছেন যে, যেটা সামগ্রিক ঐক্যের জন্য উপযোগী নয়। এটা একটা সমস্যা।’

‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার। এটা করেই কিন্তু যারা দুষ্টু, যারা সবসময় ফায়দা লুটতে চায়… তারা বলে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ তুলনা হতেই পারে না।’

‘কারণ আওয়ামী লীগ কোনও গণতান্ত্রিক দল নয়, গণবিরোধী একটা দল… গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গণতান্ত্রিক মানুষকে হত্যাকারী একটি দল। আর বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রকে জীবন্ত করার দল। ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান তিনি একদলীয় রাজনীতি থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন… খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছেন… আমরাই কেয়ারটেকার সিস্টেম চালু করেছি। সুতরাং, এদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ফান্ডামেন্টাল জিনিস প্রত্যেকটা আমাদের হাতে গড়া এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর আমরা করেছি।’

সুত্র- বাংলা ট্রিবিউন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও দেখুন