জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে চকরিয়ার জমজম হাসপাতালে নবজাতকের জন্ম হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৯ মার্চ শিশুটিকে চমেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়, এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে, শিশুটির অক্সিজেনের পানি শেষ হয়ে গেলে, বেলাল উদ্দিন ওয়ার্ডবয়কে নতুন পানি সরবরাহ করতে বলেন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে যে, বকশিশ না দেওয়ার কারণে ওয়ার্ডবয় অক্সিজেনের পানি সরবরাহ বন্ধ করে রাখেন। এরপর, শিশুটির বাবা-মাকে ওয়ার্ড থেকে বাইরে বের করে দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজের জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করানো হয়।
পরবর্তীতে, যখন তারা হাসপাতাল থেকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি পান, তখন দেখতে পান যে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। এই ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিশুটির পরিবার।//
হতাশার সুরে বাবা বেলাল উদ্দীন বলেন, ‘ওরা যদি অক্সিজেনের পানিটা দিতো, তাইলে আমার বাচ্চা সুস্থ থাকতো। আজ টাকা দিতে পারলাম না, দিতে পারলে আমার বাচ্চাটা ঠিক থাকতো। আমার স্ত্রী হার্টের রোগী। বাচ্চার জন্য কান্না করতে করতে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, আমি একটু আগে ঘটনাটি জেনেছি। বিভাগীয় প্রধানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয়কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।