স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল থানায় ওসি হিসেবে গত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে তিনি সমালোচনার মুখে ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইয়াবা কারবার ও গ্রেপ্তার বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন।
ওসি ফরিদের বিরুদ্ধে এক রাতেই ৫টি মামলা রেকর্ডভুক্ত করার অভিযোগও উঠেছে। এসব মামলার বাদীরা দাবি করেন, মামলা নিতে ৭৮ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন ওসি।
অন্যদিকে মামলা নেওয়ার নামে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছিল নিয়মিত। এমতাবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে তাকে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পেয়ে ওসি ফরিদ সবকিছু গুছিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে চলে যান জেলা শহর ময়মনসিংহে।
এ খবর বিভিন্ন মাধ্যমে পেয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানের দোকানদার, ব্যবসায়ী ও এমনকি অনেক বিচার প্রার্থী তার সন্ধানে থানায় আসতে থাকেন। থানায় আসা নান্দাইল পৌর বাজারের ইসহাক মার্কেটের প্রাইম কালেকশনের মালিক মো. মোফাজ্জল হোসেন খান রেনু জানান, তার দোকান থেকে বিভিন্ন সময় পরিবারের জন্য পোশাক নিয়েছেন ওসি ফরিদ। তাছাড়া গত শীতের শুরুতে নিয়েছেন তিনটি কাশ্মেরী শাল। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ২৫০ টাকা বকেয়া।
নান্দাইল সদরের সুবর্ন ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক ফরহাদ জানান, তার দোকান থেকে ফ্যানসহ বেশ কিছু মালামাল নিয়েছেলন ওসি।গত এক বছর ধরে তার কাছে ১১ হাজার টাকা পান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, “ওসির কাছে সাধারণ মানুষ টাকা পায়, এটি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে কথা বলবো।”