রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন কর্নেল তানভীর হোসেন তাঁতিদল নেতা শাকিলের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা রাজশাহী মহানগরীর ৩নং ওয়ার্ড যুবনেতা শ্রাবণের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা যুবদল নেতা মুঞ্জুর আলম রেন্টুর ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান রিটন ছাত্রদল নেতা আবুল কালাম আজাদ তপনের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা। রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আসাদুজ্জামান জনির ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা যুবদল নেতা আব্দুল কাদের উৎসবের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সৈকত পারভেজ ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইঞ্জিঃ আরিফুজ্জামান সোহেল

ওসি প্রত্যাহার, খবর শুনে থানায় পাওনাদারদের ভিড়

অনলাইন ডেস্ক / ৫৪ দেখেছেন
আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহম্মেদকে হঠাৎ প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এর পরপরই থানায় হাজির হন অন্তত ৩০ জন পাওনাদার, যারা অভিযোগ করেন, ওসি ফরিদ তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বা দোকান থেকে মালামাল নিয়েও মূল্য পরিশোধ করেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল থানায় ওসি হিসেবে গত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে তিনি সমালোচনার মুখে ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইয়াবা কারবার ও গ্রেপ্তার বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন।

ওসি ফরিদের বিরুদ্ধে এক রাতেই ৫টি মামলা রেকর্ডভুক্ত করার অভিযোগও উঠেছে। এসব মামলার বাদীরা দাবি করেন, মামলা নিতে ৭৮ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন ওসি।

অন্যদিকে মামলা নেওয়ার নামে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছিল নিয়মিত। এমতাবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে তাকে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পেয়ে ওসি ফরিদ সবকিছু গুছিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে চলে যান জেলা শহর ময়মনসিংহে।

এ খবর বিভিন্ন মাধ্যমে পেয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানের দোকানদার, ব্যবসায়ী ও এমনকি অনেক বিচার প্রার্থী তার সন্ধানে থানায় আসতে থাকেন। থানায় আসা নান্দাইল পৌর বাজারের ইসহাক মার্কেটের প্রাইম কালেকশনের মালিক মো. মোফাজ্জল হোসেন খান রেনু জানান, তার দোকান থেকে বিভিন্ন সময় পরিবারের জন্য পোশাক নিয়েছেন ওসি ফরিদ। তাছাড়া গত শীতের শুরুতে নিয়েছেন তিনটি কাশ্মেরী শাল। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ২৫০ টাকা বকেয়া।

নান্দাইল সদরের সুবর্ন ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক ফরহাদ জানান, তার দোকান থেকে ফ্যানসহ বেশ কিছু মালামাল নিয়েছেলন ওসি।গত এক বছর ধরে তার কাছে ১১ হাজার টাকা পান তিনি।

এছাড়া নামপ্রকাশ না করার শর্তে আরও অনেকে টাকা পাওয়ার অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, “ওসির কাছে সাধারণ মানুষ টাকা পায়, এটি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে কথা বলবো।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও দেখুন