দেওয়া হলেও না পালিয়ে আক্রমণ করে। এ জন্য বাধ্য হয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইনতাজ আলী বলেন, শ্রীপুরের প্রধান অর্থকরী ফসল পান। নদী ও বিলের ধারে পানবরজগুলো স্থাপন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শিয়াল ছিল না। তবে ৮ থেকে ১০ বছর ধরে শিয়ালের সংখ্যা বাড়লেও মানুষের প্রতি আক্রমণ এটাই প্রথম। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শেয়ালের ভয়ে কেউ ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না।
আহত আমিনুল ইসলাম বলেন, পানবরজে শিয়াল থাকে। তাঁরা কোনো দিন সেগুলোকে মারেননি। শিয়ালও কোনো দিন আক্রমণ করেনি। দিনের বেলায় তাঁরা পানবরজে নির্বিঘ্নে কাজ করেন। তবে রাতের বেলায় শিয়ালগুলো আহারের জন্য বের হয়। কেন আজকে এভাবে কামড়ানো শুরু করল, তা বুঝতে পারছেন না।
শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা বলেন, শিয়ালকে না মারার জন্য ও লোকজনকে সর্তক হয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে। সর্তক করে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। তবে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাফিয়া সুলতানা মুঠোফোনে বলেন, শিয়ালের আক্রমণের শিকার লোকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকা ছাড়া ভ্যাকসিন না থাকায় আক্রমণের শিকার রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সবাই সুস্থ আছেন।
উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এরকম খবর তাঁরা কোথাও শুনেনি। বন্য প্রাণীকে মেরে ফেলা ঠিক নয়। তবে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে কেন এমন ঘটনা ঘটেছে।সবাইকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেন।