বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সংবাদ প্রকাশের জেরে মিথ্যা মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন, দূর্নীতিবাজদের প্রত্যাহারের দাবি ঘাতকের দেয়া তথ্যে অটো চালকের লাশ উদ্ধার শিবগঞ্জ পৌরসভার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা রাজশাহীতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মানববন্ধন, ইজরাইলের বিরুদ্ধে। রাজশাহীতে আট তলা ছাঁদ থেকে পড়ে এক নারীর মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুকে নিজেদের ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ চেকবই দিয়ে ফেঁসে গেছে ৮যুবক অতিরিক্ত ভাড়া রুখতে বাস কাউন্টারগুলোতে বিআরটিএ সতর্কবার্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদাতাদের বার্ষিক মিলনমেলা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ‘রাজশাহীতে ঈদে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই’ শিবগঞ্জে “সেবা সংস্কৃতিতে আমরা” এর উদ্যোগে ঈদ উপহার ও নগদ অর্থ বিতরণ।

সবুজ বডিতে লাল বোতাম, প্রথম বাংলা ক্যালকুলেটর

অনলাইন ডেস্ক / ৫০ দেখেছেন
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

এযাবত যত ক্যালকুলেটর দেখেছেন, সেগুলোর সংখ্যা তো সবই ছিল ইংরেজিতে। কিন্তু অভিনব ও নতুন ক্যালকুলেটর তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন ড. মাহমুদ হাসান। সবুজ বডিতে লাল বোতাম। লাল বোতামে বাংলায় লেখা ১, ২, ৩, ৪, জমা, সাফ আর থোক। বাংলার সংখ্যা দিয়ে তৈরি এই ক্যালকুলেটরের নাম ‘ধারাপাত’। এরকম ডিজিটাল ঘড়ি ‘ধারাক্রম’ও আবিষ্কার করেছেন তিনি।

প্রথম বাংলা ক্যালকুলেটর ধারাপাতের নকশা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রঙ লাল-সবুজ দিয়েই করা হয়েছে। এ বছরের বই মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি স্টল নিয়ে বসেছিলেন তিনি। স্টলের ওপরেই লেখা ‘ধারাপাত, প্রথম বাংলা ক্যালকুলেটর।’ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের বইমেলায় ভিড় সাধারণত কম হয়। কিন্তু একদম শেষের দিকের এক কোণায় ড. মাহমুদের স্টলে সবসময় ভিড় লেগেই থাকতো।

ড. মাহমুদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে রোবোটিক্সের ওপর পিএইচডি করতে মালয়েশিয়া যান ড. মাহমুদ। তারপর আর দেশে ফিরে আসেননি। ৩০ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, কাজাখাস্তান, আমেরিকার অনেকগুলো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন রোবোটিক্স।

১২টি সেগমেন্ট দিয়ে বাংলা সংখ্যা ০ থেকে ৯ পর্যন্ত ফুটিয়ে তোলা যাচ্ছিল। এ ক্যালকুলেটরে আবার ইংরেজি সংখ্যাও আনা যায়। তবে এটি গোপন একটি ফিচার। যদিও ড. মাহমুদ হাসান চাচ্ছেন না এ ফিচার বেশি ব্যবহৃত হোক।

১৯৮৮ সালে এই আবিষ্কারকে বাস্তবে রূপদানের জন্য সরকারের কাছে ৫০ হাজার টাকা অনুদান চেয়েছিলেন ড. মাহমুদ। কিন্তু তৎকালীন সরকার তাকে ফিরিয়ে দেয়। ৩৬ বছর পর, ২০২৫ সালে নিজ উদ্যোগে বাংলা ক্যালকুলেটর ‘ধারাপাত’ তৈরি করেন তিনি। এত বছর ধরে তিনি এটি নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন নিজের মতো। কোথায় এটি সহজে তৈরি করা যাবে, কত কম দামে তিনি এটি বাজারে আনতে পারবেন—এমন বিভিন্ন বিষয় ঠিক করতে লেগে গেছে এতটা বছর।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও দেখুন