টঙ্গী ও কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় শ্রমিক আন্দোলনের জেরে ১০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি তুলে ব্যারিকেড তৈরি করে আন্দোলন শুরু করেন। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর যানবাহন চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘এখন মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং আশা করছি সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।’
তিনি আরও জানান, যেসব শ্রমিক আন্দোলনে যোগ না দিয়ে কাজে যোগ দিতে চেয়েছিল, তাদের মারধর করেছে বলে জানা গেছে। এ কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুপুর ১২টার মধ্যে গাজীপুরের ১০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়, ফলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে সকাল ৮টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকরা গত মাসের বেতন দাবিতে বিক্ষোভ করছে এবং দুপুর সাড়ে ১২টার পর তারা আবারও কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছে। তারা তাদের বেতন ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’
এ ছাড়া শিল্প পুলিশ এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে।