শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকায় খেলার মাঠ রক্ষায় শতাধিক গ্রামবাসীর মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা সাফল্যগাথা XFortune Tours & Travels ৬ বছরে যাত্রা পথে শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রাজশাহীতে ট্রাক ট্রায়ালের নামে কৌশলে প্রতারণা, থানায় অভিযোগ সাবেক কাউন্সিলর টিটোর মৃত্যুতে যুবদল নেতা আরিফুজ্জামান সোহেলের শোক” সংবাদ প্রকাশের জেরে মিথ্যা মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন, দূর্নীতিবাজদের প্রত্যাহারের দাবি ঘাতকের দেয়া তথ্যে অটো চালকের লাশ উদ্ধার শিবগঞ্জ পৌরসভার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা রাজশাহীতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মানববন্ধন, ইজরাইলের বিরুদ্ধে। রাজশাহীতে আট তলা ছাঁদ থেকে পড়ে এক নারীর মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুকে নিজেদের ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ চেকবই দিয়ে ফেঁসে গেছে ৮যুবক

বিদায়ী সিইসি যে দুটি প্রস্তাব রেখে গেলেন

রিপোর্টার নাম / ৮২ দেখেছেন
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট : সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল যাওয়ার আগে নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে দুটি প্রস্তাব রেখে গেলেন। এর একটি হচ্ছে সংখ্যানুপাতিক সংসদ নির্বাচন ও একাধিক দিনে ভোটগ্রহণ।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিমের হাতে তুলে দেন।

অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররাও পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে সচিবের কাছে দেন। সচিব রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন।

পদত্যাগের আগে এক লিখিত বক্তব্যে তার কমিশনের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, বর্তমান ও অতীত থেকে আহরিত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও উপলব্ধি থেকে ভবিষ্যতের জন্য কিছু প্রস্তাবনা সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য রেখে যাওয়া কর্তব্য মনে করছি। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সমরূপতার (homogenity) কারণে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (দলীয় ভিত্তিক) নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ ক্ষেত্র হতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচন চার বা আটটি পর্বে, প্রতিটি পর্বের মাঝে ৩৫ দিনের বিরতি রেখে, অনুষ্ঠান করা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সহজ ও সহায়ক হতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রবর্তিত অনলাইনে নমিনেশন দাখিল অব্যাহত রেখে নির্বাচন পক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপটিমাইজ করতে পারলে উত্তম হবে। প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলে উদ্দেশ্য অর্জন আরো সুনিশ্চিত হতে পারে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুবছর সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের ৯৯২টি, উপজেলা পরিষদের ৪৯৬টি, জেলা পরিষদের ৭১টি, পৌরসভার ৯০টি এবং সিটি কর্পোরেশনের ১৬টি নির্বাচন করেছে। নির্বাচনগুলোর সততা, নিরপেক্ষতা ও অবাধ হওয়া নিয়ে অতীতের মতো ব্যাপক বিতর্ক বা সমালোচনা হয়নি।

উপ-নির্বাচনসহ জাতীয় সংসদের মোট ৩১৮ টি আসনে কমিশন নির্বাচন করছে। দলীয়ভাবে ইনক্লুসিভ না হওয়ার কারণে নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। এটি সঠিক ও যৌক্তিক। কিন্তু বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে কোনো নির্বাচন কমিশন সংবিধান উপেক্ষা করে সেচ্ছায় নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে পদত্যাগ করেছে এবং সেই কারণে নির্বাচন হয়নি এমন উদাহরণ নেই বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, সরকার বারবার বলছে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচন বারংবার ব্যর্থ হওয়ার প্রকৃত সত্য ও কারণ এই কথাটির মধ্যেই নিহিত।

তিনি বলেন, কমিশনের সদস্যরা সংবিধান মেনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আমাদের কর্মকালে আমরা গণমাধ্যম, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনীসহ আবশ্যক সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। কৃতজ্ঞচিত্তে তা স্মরণ করছি।

২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে গেলে নব্বই দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটের আয়োজন না করলে ইসিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।

যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে এবং নির্বাচনের কোনো রূপরেখা নেই, সংবিধানও কার্যত অঘোষিতভাবে স্থগিত হয়ে পড়েছে তাই কমিশন পদত্যাগ করলো বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও দেখুন