অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শামীমার রহমান ও তার স্বামী মো. জিল্লুর রহমান ৭ নম্বর বাসুপাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর মোড় এলাকায় একটি লাইব্রেরি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হওয়ায় তিনি উদ্যোগ নেন ‘রাহমানিয়া পাঠাগার’ নামক লাইব্রেরী নির্মানের। বিনামুল্যে এতে এলাকার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ উপকৃত হবে বলে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র শুরু থেকেই তাদের এই উদ্যোগে বাধা দিয়ে আসছিল।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ,২৫ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত নাইমুল ইসলাম শান্ত (২২), জেকের আলী সাই (৬৫), আবুল বাশার (৪৫), এমদাদুল হক তুহিন (৩২) আরও কয়েকজন লাইব্রেরির জন্য নির্ধারিত জায়গায় অনুপ্রবেশ করে। তারা লাইব্রেরি নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় এবং ভয়ভীতি দেখায়। বাধা দিতে গেলে শামীমার রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযুক্তরা লাইব্রেরির নির্মাণ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং ৫০,০০০ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত লাইব্রেরি নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এখন তদন্ত করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেওয়া আছে ইউএনও অফিসে। এলাকার সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি নির্মাণকাজ যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।