৫৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমার জামাই গ্রেপ্তার হয়েছে, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই। মামলা যখন আছে, তখন গ্রেপ্তার হবেই। কিন্তু যারা মনে করছেন, সে আর কোনো দিন বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। আমরা কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে তাকে বের করে আনব, সে বীরের বেশে ফিরে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড়া হবে না। এত দিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন পালিয়ে থাকার পালা তাদের। সাজ্জাদের সমর্থকরা দোয়া করবেন, যাতে ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিন হয়ে যায়।’
১৫ মার্চ রাতে ঢাকায় শপিংমলে ঘোরাঘুরি করার সময় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ সময় সাজ্জাদের সঙ্গে স্ত্রী তামান্নাও ছিলেন। কিন্তু সাদা পোশাকের পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তামান্না সটকে পড়েন। সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পরপরই লাইভ করে আলোচনায় আসেন তামান্না। দেখান টাকার গরম। পাশাপাশি দেন হুমকিও। যারা তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং করতে সহযোগিতা করেছে তাদের দেখে নেবেন বলেও জানিয়েছেন এই লাইভে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় তাদের বাড়ি। ছেলেদের মোটরসাইকেল চালানো ও কথাবার্তায় কঠোরতার জন্য তামান্না লেডি ডন পরিচিতি। সাজ্জাদকে বিয়ে করার পর দুজনই বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর সাজ্জাদকে চান্দগাঁও থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর সিএমপির মুনসুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সিএমপির একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিবি কার্যালয়ে থাকা সাজ্জাদকে সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কিছুতেই সে মুখ খুলছে না। সেখানে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হবে।